বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ  ম্যাচের সামনে দাড়িয়ে আছে মাশরাফি বাহিনী। এগারো বছর পর টুর্নামেন্টে ফিরেই “এ” গ্রুপের মত কঠিন গ্রুপ থেকে সেমিফাইনালে পা রাখাটা একদিকে যেমন “অবিশ্বাস্য” অন্যদিকে গৌরবেরও বটে। চ্যাম্পিয়নস ট্রফি সেমিফাইনালে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ হচ্ছে রান রেটে অনেক এগিয়ে থাকা ভারত। সেমিফাইনালে বিপক্ষ দল ভারত হওয়ায় ক্রিকেট প্রেমিদের আনন্দের পাশাপাশি রোমাঞ্চ, আশংকা, উত্তেজনা সবই যেন একসাথে ভর করেছে। বিশেষ করে বিশ্বকাপে কোয়ার্টার ফাইনালের সেই বাংলাদেশ ভারত ম্যাচটির দুঃসহ স্মৃতির জন্য ক্রিকেট প্রেমি বাঙ্গালিরা প্রতিশোধের ম্যাচ হিসেবেই দেখছেন এটিকে।

সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলোও তাই এই বিষয় নিয়ে যথেষ্ট উত্তপ্ত। ষোল কোটি বাঙালির স্বপ্ন সেমিফাইনালে ভারত বধ করে ফাইনালে যাওয়া। যদিও আবহাওয়া প্রতিকুলে থাকলে খেলার ফলাফল ভারতের দিকের ঝুকে যায় রান রেটে এগিয়ে থাকায়। তাই অনিশ্চয়তা আর শংকা থেকেই যায়। সবার তাই একটাই চাওয়া,  বার্মিংহামের আকাশে যেন রোদ হাসে আর সেই হাসি যেন হাজার মাইল দূরের রাতের বাংলাদেশে জয়ের আলো নিয়ে আসে। ব্যাটিং এ বর্তমানে শক্তিশালি দলকে  ঠেকানোর জন্য প্রস্তুত “টাইগাররা”। গত ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের সাথে দাপুটে জয়ের পর আত্মবিশ্বাসে মোটেও পিছিয়ে নেই তারা। সেমিফাইনাল নিয়ে তাই যথেষ্টই আশাবাদি বাংলাদেশের খেলোয়াড়রা ।  সেটা বোঝা যায় তাসকিন আহমেদের কথায়  “আমরা যে কতোটা খুশি সেটা আসলে ভাষায় প্রকাশ করা কঠিন। আমরা সবাই অনেক রোমাঞ্চিত সেমিফাইনাল নিয়ে। এটা আসলে দারুণ এক অভিজ্ঞতা। সবাই খুব খুশি। ইতিহাস গড়ে আমরা ফাইনালেও যেতে পারি।“

দেখা যাক বাংলাদেশের ক্রিকেটের এ সুদিনে ইতিহাস গড়ে ফাইনালে যেতে পারে কিনা বাংলাদেশ। এবং সেটা জানা যাবে কাল ম্যাচের পর। আগামীকাল ১৫জুন এজবাস্টনে বাংলাদেশ সময় ৩.৩০ মিনিটে মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ ও ভারত। খেলা পরিচালনার দ্বায়িত্বে থাকছেন ফিল্ড আম্পায়ার রিচার্ড ক্যাটেলবোরো ও কুমার ধর্মসেনা। থার্ড আম্পায়ার থাকছেন নাইজেল লং এবং ম্যাচ রেফারি ক্রিস ব্রড।

শুভকামনা মাশরাফি বাহিনীকে সকল বাংলাদেশি ক্রিকেট প্রেমিদের পক্ষ থেকে।

Leave a Reply

Your email address will not be published.

*